ঘুরে আসুন চন্দ্রনাথ পাহাড়,সীতাকুণ্ড.
সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় মেঘ দেখতে পাওয়া আমাদের জন্য একরকম স্বপ্নের মত ছিল! অনেকে ভাগ্য বলতে পারেন! ট্রেকিং শেষ করে আসার পরও আমাদের অনেকেরই বিশ্বাস হচ্ছে না আমরা মেঘের ভিতরে ছিলাম অনেকক্ষণ যাবৎ! এযেন স্বর্গীয় অনুভূতি!
ঢাকা থেকে রাত ১০.৩০ এ মেইল ট্রেনে ছাড়ে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে! টিকিট মাত্র ১১০ টাকা। সকাল ৬.৩০ এ নেমে যাবেন সীতাকুন্ড স্টেশনে। ট্রেন থেকে নেমেই দেখবেন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে সীতাকুন্ডের রাজকন্যা চন্দ্রনাথ পাহাড়।
১১৬২ ফুট উপরে উঠতে আপনার সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা! সাথে অবশ্যই পানি এবং শুকনো খাবার নিয়ে উঠবেন।
১১৬২ ফুট উপরে উঠতে আপনার সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা! সাথে অবশ্যই পানি এবং শুকনো খাবার নিয়ে উঠবেন।
পাহাড়ে উঠার সময় আপনি দেখতে পাবেন পুরো অপরূপ সৌন্দর্যের সীতাকুন্ড শহর, বঙ্গোপসাগর, দূরের সন্ধীপ এবং চট্রগ্রাম-সন্ধীপের মোহনা! চূড়ায় উঠার পর বিপরীত পাশেই আবার দেখতে পাবেন সারি সারি পাহাড়। দূরের এরকম দৃশ্য আপনার কাছে মেঘ বিলাসের চাইতেও ভালো লাগবে।
আর চন্দ্রনাথে উঠার জন্য দুটো রাস্তা আছে। একটা দিয়ে উঠলে অন্যটা দিয়ে নামার চেস্টা করবেন। নাহলে অনেক কিছুই মিস করবেন!
বিঃদ্রঃ চন্দ্রনাথে উঠা বা নামার সময় কখনো গ্রুপ থেকে আলাদা হওয়া যাবে না। গ্রুপ মেম্বার কম থাকলে অন্য একটা গ্রুপের সাথে এড হতে হবে। আমাদের সাথের অন্য একটা গ্রুপের একজনকে ধরে পুরো খালি করে দিয়েছেন উনারা। এত সুন্দর কিছু দৃশ্য দেখার পরও ঐসময় আমাদের গ্রুপের সবারও মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল! 

আর কখনো দুপুর ২ টার পরে ট্রেকিং শুরু করা যাবে না। রাত হয়ে গেলে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনবেন। এটা সীতাকুন্ডের সহ বাংলাদেশের সবগুলো ট্রেইল বিশিষ্ট ঝর্ণা দেখতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য!
Courtesy : Shifat Rahman
No comments